1. admin@news24hour.net : admin :
পোল্ট্রি শিল্প ধ্বংস করছে ১২ কোম্পানি: ক্ষুদ্র খামারিদের অভিযোগ - নিউজ ২৪ আওয়ার
মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:২৩ অপরাহ্ন

পোল্ট্রি শিল্প ধ্বংস করছে ১২ কোম্পানি: ক্ষুদ্র খামারিদের অভিযোগ

  • প্রকাশিত : রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ২১২ বার পঠিত

নিউজ24আওয়ার ডেস্কঃ দেশের পোল্ট্রি শিল্পকে ধ্বংস করছে ১০ থেকে ১২টি বড় করপোরেট কোম্পানি এমন অভিযোগ তুলেছেন ক্ষুদ্র খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোল্ট্রি এসোসিয়েশনের নেতারা। তাদের দাবি, এক দিনের বাচ্চা, পোল্ট্রি ফিড, ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগির বাজার একচেটিয়া দখল করে এসব প্রতিষ্ঠানগুলো লুটপাট করছে। সিন্ডিকেট করে এসব পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বাড়িয়ে বছরে পোল্ট্রি খাত থেকে ৫ হাজার কোটি টাকা লুটে নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো।

রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন ক্ষুদ্র খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোল্ট্রি এসোসিয়েশনের নেতারা। এ সময় তারা দাবি করেন, পোল্ট্রি খাতের লুটপাটে নেতৃত্ব দিচ্ছে কাজী ফার্মস।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বছরের বিশেষ উৎসবের সময়; বিশেষ করে ঈদ, রোজা, নববর্ষের সময় এই পোল্ট্রি সিন্ডিকেট মাত্র ৪৫ দিনে এক দিনের বাচ্চা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে বাড়তি মুনাফা তুলে নেয় ৩২৫ কোটি টাকা। একইভাবে ফিডে বাড়তি মুনাফা তুলে নেয় ১ হাজার ৪০৫ কোটি টাকা। এভাবে ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগি থেকেও তারা বাড়তি মুনাফা তুলে নেয়। সব মিলে বছরে এই করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর সিন্ডিকেট ৫ হাজার কোটি টাকার বাড়তি মুনাফা লুফে নেয়। তারা এভাবে বাড়তি মুনাফা লুফে নিয়ে ফুলে-ফেপে আরো ধনী হচ্ছে। অপরদিকে সারা দেশের ক্ষুদ্র খামারিরা দিনকে দিন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ পোল্ট্রি এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার জানান, ২০০৯ সালেও যেখানে দেশে ১ লাখ ৬০ হাজার পোল্ট্রি খামারি ছিলেন, এখন সেটি কমে ৬০ হাজারে দাঁড়িয়েছে। এই ৬০ হাজারের মধ্যে আবার ২০ হাজারের মতো ক্ষুদ্র খামারি ওই বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানের হাতে জিম্মি হয়ে গেছে। কারণ বড় কোম্পানিগুলো স্ট্যাম্প করে খামারিদের সঙ্গে চুক্তি করেছে। এতে করে ওইসব ক্ষুদ্র খামারিরা ওই কোম্পানির হাতের পুতুল হয়ে যায়। তারা যেভাবে চালাই, সেভাবে চলতে হয়। তারা যে দাম বেঁধে দেয় ওই দামেই বিক্রি করতে হয়। তারা ক্ষুদ্র খামারিদের কাছ থেকে মাত্র ১১০ টাকা কেজিতে ব্রয়লার মুরগি কিনে নিয়ে ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করে। এভাবে তারা লুটপাট করছে।

সুমন হাওলাদার বলেন, পোল্ট্রি খাতের এই সিন্ডিকেট ভাঙতে হলে, ক্ষুদ্র খামারিদের বাঁচাতে হলে এবং দেশের মানুষকে কম দামে পোল্ট্রি পণ্য খাওয়াতে হলে সরকারকে একটি পোল্ট্রি বোর্ড গঠন করতে হবে। এই বোর্ডই এক দিনের বাচ্চা, ডিম, ফিড, ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগির দাম নির্ধারণ করে দেবে। তাহলে বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো সিন্ডিকেট করে বাড়তি মুনাফা লুফে নিতে পারবে না। এর বাইরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি সরকারের কাছে মোট ৬টি দাবি তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে ক্ষুদ্র খামারিরা ৬ দফা দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানব বন্ধন করে। মানব বন্ধন শেষে প্রতিযোগিতা কমিশনের কাছে চিঠি দিতে যান সংগঠনটির নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ পোল্ট্রি এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াস খোন্দকারসহ সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। এছাড়া দেশের সব জেলা থেকে একজন করে প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২২ নিউজ ২৪ আওয়ার
Theme Customized By Shakil IT Park