বরিশাল বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি : বরিশাল বাবুগঞ্জ উপজেলার নিয়াশি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: সোহরাব আলী খাঁন এর বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলাও আগুন দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১১ আগষ্ট রবিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা মো: সোহরাব আলী খাঁন এর বসত ঘরে পেট্রল দিয়ে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়ে তার পরিবরের লোকজনের উপর হামলা ও লুট করে এতে গুরুতর আহত হন ২ জন। ধারনা করা হচ্ছে একই গ্রামের সদ্য পদত্যাগকৃত আওয়ামীলীগ সরকারের একজন প্রভাবশালী নেতা রহমান মোল্লা ও তার ছোট ভাই জামায়েত নেতা আজিজ মোল্লার পরিবারের সাথে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঘটনা ঘটে। আজিজ মোল্লা এর আগে ২৩ শে আগষ্ট সারাদেশব্যাপি গ্যানেড হামলা ও হিন্দুদের উপর নির্যাতনের বেশ কিছু মামলার অন্যতম আসামী। কিন্তু তার বড় ভাই রহমান মোল্লার দলীয় প্রভাব খাটিয়ে আইনের ফাকে তাকে জেল থেকে ছাড়িয়ে আনে তার পর থেকে সে পলাতক ছিলো। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার পতনের পর থেকে সে পলাতক ছিলো। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার পতনের পর জামায়েত ক্ষমতা পাওয়ার পর থেকে সে তার জঙ্গী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: সোহরাব আলী খাঁন এর বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা আগুন ও লুটপাট করা হয়। স্থানীয় সুত্রে জানা যায় একই গ্রামের প্রভাবশালী রহমান মোল্লার সাথে পূর্বের শত্রুতা ছিল সোহরাব আলী খাঁন তাহার বড় ছেলে মো: তানভীর আহম্মেদ এর সাথে। জানা যায় পূর্বে অনেক বার তানভীর তার জীবন বাচানোর জন্য পালিয়ে পালিয়ে থাকে এবং তার ছোট মেয়েকে একবার জিম্মি করার ও চেষ্টা চালায় ভাগ্যক্রমে বেচে যায়। এক পর্যায় তানভীর এর বাবা মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে কয়েক মাস আগে স্থানীয় এক বড় আওয়ামীলীগের নেতা আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ এমপি তার কাছে ওই রহমান মোল্লা ও স্থানীয় চেয়ারম্যান হিমু খান এর নামে বিচার দেন। এক সময় রহমান মোল্লা আওয়ামীলীগের নেতা ছিলেন কিন্তু স্থানীয় এমপি আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ তাহাকে দল থেকে বরখাস্ত করে কারন রহমান মোল্লার নামে অনেক মাদক ব্যবসার অভিযোগ আসে সে বিভিন্ন মানুষের ভূমি দখল করে ৫ই আগষ্ট সরকার পতনের পরে রহমান মোল্লা আরো ভয়ানক হয়ে উঠে। এরই মধ্যে তানভীর এর মা অসুস্থ হয়ে পরে। তাই তানভীর আহম্মেদ এর স্ত্রী বরিশাল গ্রামের বাড়ি যায় তার শাশুরিকে দেখতে ২ দিন পর সরকার পতন হয়। রহমান মনে করেছিল তানভীর আহম্মেদ বাড়িতে আসছে এবং তানভীর এর বাবা তার উপর ক্ষোভে ১১ আগষ্ট মধ্য রাতে তার বাড়িতে হামলা চালায় এক পর্যায় তানভীর কে না পেয়ে তার স্ত্রীকে এলো পাথারি আঘাত করে এবং তানভীর স্ত্রীকে মারতে দেখে তানভীর এর ছোট ভাই মেহেদি হাসান সে ফিরানোর জন্য এগিয়ে যায় তখন তাকেও অনেক মারধর করে এক পর্যায় বাড়িতে সব কিছু লুট করে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে বরিশাল হাসপাতালে নিয়ে যায়। এর পর থেকে তানভীর আহম্মেদ এর পরিবার বাবা মা ও ভাই সবাই পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
Leave a Reply