1. admin@news24hour.net : admin :
চট্টগ্রামে জাহাজ ভাঙার কাজে একদশকে মৃত্যু ১৪২ - নিউজ ২৪ আওয়ার
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৩ পূর্বাহ্ন

চট্টগ্রামে জাহাজ ভাঙার কাজে একদশকে মৃত্যু ১৪২

  • প্রকাশিত : সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ২২ বার পঠিত

গত একদশকে চট্টগ্রামে জাহাজ ভাঙা ইয়ার্ডগুলোতে ১৪২ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সরকারি এবং আন্তর্জাতিক নানা তৎপরতার পরেও এসব ইয়ার্ডে মৃত্যুর মিছিল থামানো যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছে, শ্রমিকদের মৃত্যু বন্ধে বহুপক্ষীয় গাফেলতি আছে। যদিও সেটি অস্বীকার করছে এই শিল্পের মালিকপক্ষ।

নিবিড় শ্রমসাধ্য এবং বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক কাজের একটি শিপ ব্রেকিং বা পুরোনো জাহাজ ভাঙা। দেশের শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডগুলোতে প্রতিনিয়ত আগুন, বিস্ফোরণ, পিছলে পড়ে কিংবা বড় লোহার পাতের নিচে চাপা পড়ে মারা যায় শ্রমিকরা। বেসরকারি একটি সংস্থার গবেষণা বলছে, গেল একদশক ধরেই এই মৃত্যুর সংখ্যা উদ্বেগ জাগানিয়া।

জাহাজ ভাঙার কাজে ২০১৪ সালে ৯, ২০১৫ সালে ১৬, ২০১৬ সালে ১৭, ২০১৭ সালে ১৫, ২০১৮ সালে ২০, ২০১৯ সালে ২২, ২০২০ সালে ১১, ২০২১ সালে ১৪, ২০২২ সালে ১০, ২০২৩ সালে ৮, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২ জন মারা গেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছে, যেসব কারণে দুর্ঘটনা ঘটে, সেসব উদঘাটনে খুব বেশি তৎপরতা নেই কারো। অনেক ক্ষেত্রেই দরিদ্র শ্রমিকদের পরিবারকে বুঝিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া হয়। ফলে কাগজে কলমে নানা নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার কথা বলা হলেও পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে ইপসার সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আলী শাহীন বলেন, ‘প্রতিবার দুর্ঘটনা হয়, তদন্ত কমিটি আসে। কিন্তু সঠিক কারণটি উদঘাটন করা যাচ্ছে না। এখন সঠিক কারণ উদঘাটন না গেলে কীভাবে সমস্যা সমাধান করা হবে।’

সম্প্রতি এস এন করপোরেশনের গ্রীণ শিপ ইয়ার্ডে বিস্ফোরণে আবারও নড়েচড়ে বসেছে সবাই। কারণ হংকং কনভেনশন অনুযায়ী, এই ইয়ার্ডটি প্রতি বছরই নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার তদারকির ভেতরে থাকে। সংশ্লিষ্টরা বলছে, শুধু মালিক নয়- দুর্ঘটনা রোধে শ্রমিকদেরও দায়িত্ব রয়েছে।

বিএসবিআরএ সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম রিংকু বলেন, ‘আমাদের শ্রমিকদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আবার তাদের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণ বুঝে নেওয়াটাও বড় চ্যালেঞ্জ। শ্রমিকদের আরও সচেতন হতে হবে। কারণ আমাদের শ্রমিকদের জীবনটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয় এবং নরওয়ে সরকার যৌথভাবে কাজ করছে।’

ইয়ার্ড মালিকরা বলছে, এই শিল্পে সুরক্ষাখাতে বাংলাদেশ আশপাশের বিভিন্ন দেশের তুলনায় অনেক এগিয়ে আছে। যেসব দুর্ঘটনা ঘটছে, তা কমিয়ে আনতে নানা চেষ্টা চলছে।

কবির স্টিল লিমিটেড ব্যবস্থাপক (শিপ ব্রেকিং) মেহেরুল করিম বলেন, ‘অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের শিপ ব্রেকিং শিল্প অনেক ভালো অবস্থায় আছে। বিশেষ করে আমাদের প্রতিযোগী দেশ বিশেষ করে ভারত, পাকিস্তান। পাকিস্তান এখনও সুরক্ষাজনিত কাজই শুরু করে নাই। ভারতের কাছ থেকেও আমরাও অনেকখানি এগিয়ে আছি।’

বাংলাদেশে তালিকাভুক্ত শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড আছে ১৭৯টি। তবে বর্তমানে চালু আছে ৩০-৩৫টি। যার মধ্যে আন্তর্জাতিক মানের গ্রীণ শিপ ইয়ার্ডের সংখ্যা ৫টি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২২ নিউজ ২৪ আওয়ার
Theme Customized By Shakil IT Park